,

দশ বছরেই উপন্যাস লিখলো নবীগঞ্জের বৃটিশ নাগরিক সাকিব!

“বই দুটির (“টর্মাক” ও “দ্য কিডনাপারস লায়ার”) লেখক নবীন। আমি সাধারনত নবীন লেখকদের লেখার ব্যাপারে অনেক উদ্বিগ্ন থাকি। অল্প বয়স্ক লেখকদের লেখার ব্যাপারে আরো বেশি। কারন ভালো লেখক কিংবা লেখা উপহার দিতে হলে কমপক্ষে আট-দশ বছরের কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। হাল সিটির নবীন লেখক সাকিব চৌধুরী আমার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে এত অল্প বয়সে দুটি বই লিখেছেন এ ক্ষেত্রে তাকে সৌভাগ্যবানই বলতে হবে কারন মাত্র ১০ বছর বয়সে তার জুড়িতে দুটি বই লেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।”কথাগুলি বলছিলেন আইরিশ বিখ্যাত হরর লেখক মি.ড্যারেন শান। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক থউসবী প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র সাকিব চৌধুরী লিখেছে এই উপন্যাস দুটি। বয়স মাত্র ১০ বছর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তার লেখা দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সাকিব আশা করেন তার লেখা সমূহ ভবিষ্যতে ড্যারেন শ্যানের লেখার মত একটি যুগের সূচনা করবে। নবীন লেখক জানিয়েছেন তিনি বই পড়ার আগ্রহ থেকেই লেখালেখির দিকে হাত বাড়িয়েছেন। হাল সিটির নবীন লেখক বলেন আমি বই পড়তে ভালবাসি, বইয়ের লেখকরা সত্যিই অসাধারন। আমি তাদের লেখা অনুসরন করি এবং আমি ও তাদের মত একজন হতে চাই। প্রথম বই লেখার সময় আমার বড় ভাই আমাকে খুব বেশি অনুপ্রেরনা জাগিয়েছ্নে। প্রথম বই লেখা শেষে ২য় বই লেখার সিদ্ধান্ত নেই। কিছু লোক বইয়ের কিছু ঘটনা প্রবাহ পড়েছেন এবং বাকি অংশ জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেক বইয়ে ৬০-৭০ টি পৃষ্ঠা রয়েছে এবং তা লিখতে আমার ২ মাস করে সময় লেগেছে। লেখকের প্রথম বইয়ের নাম “দ্য কিডনাপারস লায়ার” এটি একদল বাচ্চাদের কাহিনী যারা তাদের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুজছে ও ২য় বইয়ের নাম ”টর্মাক” এটি একটি খারাপ আচরন ও নির্দেশনা সম্পর্কিত। সাকিবের বাবা ইকবাল আহম্দে চৌধুরী ও মা মুমিনা চৌধুরী গর্বিত তার এই অর্জনে। লেখকের মা বলেন আমার পুত্র যা লিখেছে তা অব্যশই সফলতার মুখ দেখবে। সে বই পড়া ও লেখার জন্য প্রচন্ড আগ্রহী। সে যখন কিছু লিখে তখন শুধুই লিখে যায়। মাত্র ২বার লেখার মাধ্যমেই সে লেখক সমাজে প্রবেশ করেছে। লেখক সাকিব জানান এই মুহূর্তে তার নতুন কোন লেখার পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন আমি এখন মাত্র কাশ সিক্সে পড়ছি। বর্তমানে আমি হাইস্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্চি, সেখানে আমি অনেক ব্যস্থ হয়ে পড়বো। যদিও এখন আমার লেখা-লেখির কোন ইচ্ছা নেই। তবে ভবিষ্যতে আমি আরও ভাল লিখবো এবং ভাল করবো ইনশা-আলাহ্। ছয় ভাইবোনের মধ্যে সাকিব ৪র্থ। বড় ভাই সাফায়েত সামির চৌধুরী হাইমারস কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। সায়হাম চৌধুরী হাইমারস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। বড় বোন সাবিয়া চৌধুরী হাইমারস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট ভাই সাইম মুঞ্জুর চৌধুরী হাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র । ছোট বোন সামিয়া চৌধুরী যার বয়স ৩ বছর। বই পড়ার প্রতি সাকিবের অধিক আগ্রহ। ভিডিও গেমস ও আকা-আকির প্রতিও সাকিবের প্রবল আগ্রহ। বেরি লুজার এর বুক সিরিজ তার প্রিয় এবং “দ্য সিক্রেট লাইফ অফ পেটস” তার প্রিয় মুভি। উলেখ্য লেখক সাকিব চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের ইকবাল আহমেদ চৌধুরী’র ছেলে। সে নবীগঞ্জের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী’র ভাতিজা ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জামশেদ চৌধুরীর মামাতো ভাই। তার ভবিষ্যত সফলতা কামনার জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।


     এই বিভাগের আরো খবর